কির্কল্যান্ড মিনোক্সিডিল বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি নকল হওয়া হেয়ার লস পণ্যগুলোর একটি। এটি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোথাও বিক্রির লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয়—মানে বাংলাদেশে কোনো অফিসিয়াল ইমপোর্টার নেই। এই ফাঁকটাই স্ক্যামাররা কাজে লাগায়।
কে বানায়?
এটি Costco–র জন্য তৈরি করে Perrigo—যে প্রতিষ্ঠানটি জেনেরিক Regaine-ও বানায়। উৎপাদন হয় কানাডা ও ইসরায়েলে; তাই লেবেল বা প্যাকেজিংয়ে ছোটখাটো ভিন্নতা দেখা যেতে পারে—দুটোই আসল।
প্রচলিত ভুল ধারণা (এগুলোর উপর ভরসা করবেন না)
- এক্সপায়ারির ফন্টের রং: কখনও সাদা, কখনও কালো, কখনও লেজার-স্ট্যাম্প—সবই আসল হতে পারে। রং দেখে সিদ্ধান্ত নয়।
- লিকুইডে সাদা কণা/ক্রিস্টাল: শুকনো অ্যালকোহল/পানির দাগ—আসল–নকলের প্রমাণ নয়।
- ব্লিচ টেস্ট: ইন্টারনেটের আজগুবি কৌশল। পণ্যটাই নষ্ট করে।
- দাম: খুব সস্তা মানেই নকল—এটা সবসময় ঠিক নয়। কমদামের অনেকটাই VAT/ডিউটি এড়ানো গ্রে ইমপোর্ট, আবার কিছু একেবারেই নকলও হয়। সত্যিকার বাংলাদেশী সেলারদের খরচ বেশি হওয়াই স্বাভাবিক।
আসল চেনার আসল উপায়
- ড্রপার: আসল ড্রপারে ইনজেকশন মোল্ডিংয়ের স্পষ্ট সিম লাইন থাকে। নকলগুলো সাধারণত মসৃণ, নরম, আর আকার–আকৃতিও ঠিকঠাক নয়।
- লট/এক্সপায়ারি কোড: আসল বোতলে ইউনিক ব্যাচ কোড থাকে—প্রতিটি বোতলে প্রিন্ট করা থাকে। নকল বোতলগুলোতে প্রায়ই একটাই তারিখ দেওয়া থাকে—অনেক সময় অস্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতের।
- লিকুইডের গুণ: হালকা হলদেটে, মৃদু অ্যালকোহলের গন্ধ, একটু তেলতেলে—কখনও পানির মতো পাতলা নয়, পারফিউমের গন্ধ তীব্র নয়, আর কখনও একেবারে গন্ধহীনও নয়।
বাংলাদেশ-এ কেন নেই?
বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি মিনোক্সিডিল উৎপাদনে গেলেও এখন পযন্ত কেউই Kirkland-এর মিনোক্সিডিলের মতো এতো কার্যকরিতা দেখাতে পারেনি। আর এটি শুধু Costco–র মাধ্যমে বিক্রি হয় এবং আমাদের দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নয়। তাই আপনি কার কাছ থেকে কিনছেন, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা কেন বিশ্বাসযোগ্য
আমরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি Costco–র একই সাপ্লায়ার থেকে নিয়মিত স্টক নিই। আমাদের পণ্য আসে অরিজিনাল Costco কার্টনেই, সম্পূর্ণ রিটেইল ডিসপ্লে প্যাকেজিংসহ। কোনো টিকটক–রিসেলার নয়, কোনো চায়না–গুদামের রহস্যময় স্টক নয়—বরাবরই আসল জিনিস।
আমাদের গ্যারান্টি
গত দশ বছরে কোনো গ্রাহক আমাদের নকল ধরাতে পারেননি। তবু যদি আমাদের দেশের বিএসটিআই, বিসিএসআইআর কিংবা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কখনও নিশ্চিত করে যে আমরা আপনাকে নকল পণ্য দিয়েছি—তা হলে সঙ্গে সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
এখনও দ্বিধায়?
একটা বোতল নিয়ে চেষ্টা করে দেখুন। প্রত্যাশা মতো না হলে ১৪ দিনের মধ্যে ফেরত দিন—কোনো ঝামেলা নেই।